পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2023
দেশে এবং দেশের বাইরে যে যেখান থেকে দেখছেন সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আজকে আমরা যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার 2022 জন্য কিভাবে আবেদন করতে পারেন, পর্তুগালের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে, কিভাবে কোথায় আবেদন করবেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। পাশাপাশি পর্তুগালের কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি কোন কাজ বেতন বেশি পাওয়া যায় এ বিষয়গুলো জানতে পারবেন।
আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন যেমন দুবাই ,কাতার,সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া ওয়ান এই এরকম বাইরের দেশগুলোতে যদি থাকেন তাহলে কিভাবে পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন এ সম্পর্কে আজকের এই পোস্টের সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন আজকের মূল টপিকে যাওয়া যাক।
পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা রয়েছে
প্রথমে যে বিষয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যে কাজগুলো চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হোটেলের বিভিন্ন রকম কাজ।
হোটেলে বিভিন্ন রকম কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন ওয়াটার, সেপ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেপ, এরকম বিভিন্ন রকম কাজ রয়েছে পর্তুগালের হোটেলগুলোতে।
পর্তুগালে এই কাজগুলোতে ভালো পরিমাণ চাহিদা এবং ডিমান্ড আছে। আপনি চাইলে এই কাজগুলো করতে পারেন।
পর্তুগালে কাজ করতে হলে কি কি দক্ষতা লাগবে
পর্তুগালে ওয়েটারের কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভালোমতো ইংরেজি না হলে পর্তুগিজ জানতে হবে। তাহলে আপনি ওয়েদার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়াও অনেক ধরনের ফ্যাক্টরি রয়েছে যেমন ফুট প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি, মাংস প্যাকেজ করার জন্য বিভিন্ন রকম ফ্যাক্টরি। সুপার সব, মাল্টি সব ক্লিনিং সব এই ধরনের বিভিন্ন সব রয়েছে যেগুলোতে কাদের চাহিদা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
যাদের ভালো এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন আছে। অর্থাৎ যারা কম্পিউটার সফটওয়্যার গ্রাফিক্স ডিজাইন এ ধরনের কাজ গুলো জানেন তারা চাইলে এই কাজগুলো এখানে পড়তে পারেন। যেটা অন্যান্য কাজ গুলো থেকে আরামদায়ক এবং বেশি ডিমান্ডিং।
পর্তুগালে কি কি ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে
পর্তুগালে কাজের মূলত সুযোগ-সুবিধা সিস্টেম হচ্ছে আপনি যদি লিগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পড়তে গেলে যেতে পারেন তাহলে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। হয়তোবা আপনার সেলারি পরিমাণটা একটু কম হলেও ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে বেশি ফ্যাসিলিটিজ পাবেন।
আপনি যদি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ঢুকতে পারেন তাহলে একটা সময়ে গিয়ে আপনি ওখানে টিয়ার পাবেন। আরটিআর পেলে তখন আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনার সেলারি পরিমাণটা হয়তো 500 থেকে 700 ইউরো কাছাকাছি হবে। যখন আপনি টিয়ার পারমিশন পাবেন তখন আপনি চাইলে আপনার ফ্যামিলিকে পর্তুগালের নিয়ে যেতে পারবেন।
এছাড়া পর্তুগালে তারা বিজনেস করতে চান তারা যেতে পারেন কারণ এখানে বিজনেস করার ভালো সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেহেতু এখানে খুব তাড়াতাড়ি কাগজপত্র হয় তাই যদি আপনার এখানে ইনভেস্টমেন্ট করার মতো ক্যাপাবিলিটি থাকে তাহলে বিজনেস শুরু করে দিতে পারেন।
এই সুযোগ সুবিধা গুলি মূলত আপনি পর্তুগালে গিয়ে পাবেন।যে গুলো অন্যান্য দেশ থেকে একটু আলাদা এবং বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে পর্তুগাল।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা জব ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
জব পাওয়ার জন্য তিনটা মাধ্যম রয়েছে। আপনি লোকাল যে এজেন্সিগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে কোন ম্যানেজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার খরচটা একটু বেশি পড়বে। যদি আপনি লোকাল এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে জানতে ক্ষেত্রে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য 10 থেকে 12 লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
পর্তুগালে যদি আপনার কোন আত্মীয় স্বজন থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে আপনি পর্তুগালে কাজ পেতে পারেন। তারা আপনার জন্য জব অ্যারেঞ্জ করে তারপর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে দিতে পারে।
যাদের আত্মীয়-স্বজন নেই বা যারা এই এজেন্সিগুলোকে এত পরিমান সময় দিতে পারবে না তাদের জন্য আমি আজকে পোস্টের শেষে একটা ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করব যেখানে আপনারা কাজ খুঁজে পেতে পারেন।
তারা ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার সিভিটা সুন্দরভাবে ইউরোপিয়ান স্টাইলে সাজিয়ে গুজিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। একটা ক্যান্ডিডেটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে আগের জব অ্যারেঞ্জ করা।
বিদেশে বা বাইরের কান্ট্রির গুলোতে যাওয়ার জন্য একজন প্রবাসীর মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জব অ্যারেঞ্জ করা। আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করতে পারেন। মনে করুন আপনার যদি ওয়েটারের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি ওয়েটার রিলেটেড কোম্পানি গুলোতে কাজ রয়েছে সেগুলোতে এপ্লাই করতে পারবেন।
কোন প্রতিষ্ঠান যদি আপনার ছবিটা পছন্দ করে। তাহলে তারা আপনার অনলাইন ইন্টারভিউ নিবে। তারা যদি ইন্টারভিউ নেওয়ার পর মনে করে আপনি তাদের রেস্টুরেন্টের জন্য সঠিক লোক তাহলে তারা আপনাকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট এর ব্যবস্থা করে দিবে।
এরপর পর্তুগাল থেকে আপনাকে একটা কন্ডিশনাল লেটার দিবে। এখানে থাকবে আপনি পর্তুগালে গিয়ে কি কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়াও কেমন স্যালারি পাবেন এই সকল বিস্তারিত সকল তথ্য দেওয়া থাকবে।
এ সকল কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পর্তুগাল লেবার মিনিস্ট্রি থেকে আপনার জন্য একটা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বের হবে। তারপর তারা আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস দিবে।
পর আপনাকে আপনার যে বেসিক ডকুমেন্টস গুলো রয়েছে যেমন ছবি পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এগুলো নিয়ে আপনাকে এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে ভিসার জন্য। সকাল থেকে যে ডুকুমেন্ট দিবে এবং আপনার যে ডকুমেন্টস গুলো রয়েছে সেগুলো দে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পর্তুগালের এম্বাসি
এখানে একটা কথা বলতে চাই পর্তুগালের এম্বাসি কিন্তু বাংলাদেশে নাই। তাই যে সকল ভাইয়েরা মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন বিশেষ করে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া কাতার সৌদি আরব দুবাই যেসব দেশেই রয়েছেন না কেন তাদের জন্য ভালো অপরচুনিটি হচ্ছে তারা সেই সকল দেশ থেকে পর্তুগালের এম্বাসি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাই যারা পর্তুগালে ওয়ার্ল্ড পারমিট ভিসায় যেতে চাচ্ছেন বা যাবেন তারা এই নিয়মগুলো ফলো করে যেতে । আজকের পোস্টে আমরা যে কাজগুলো সম্পর্কে জানলাম এর বাইরে আপনি অনেক অনেক রকম কাজ পাবেন। যেগুলো নিচে দেওয়া লিঙ্ক এর ওয়েবসাইটে গেলেই আপনারা খুঁজে পেতে পারেন।
আজকের আজকের পোস্টটি আজকের পোস্টটি আজকের পোস্টটি এ পর্যন্তই ছিল। ভিসার সম্পর্কে যদি আরো কিছু জানার থাকে বা আপনার কাছ থেকে যদি অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।
Also read