বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বিদেশে কোন কাজের বেতন কত: বিদেশ মানেই যে টাকার খনি বিদেশ গেলে যে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব দ্রুত ধনী হতে পারবেন এমনটা মোটেও না। বিদেশে আপনি কতটা সফল হবেন বা ব্যর্থ হবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার কাজের দক্ষতা উপর।
সেখানে আপনার চেহারা দেখে বা চরিত্র অথবা ব্যক্তিত্ব দেখে টাকা দিবে না কেউ। আপনি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা নির্ভর করে আপনার কাজের উপরে। প্রতিবছর বাংলাদেশে থেকে হাজার হাজার মানুষ বেকারত্বের চাহিদা মেটাতে না পেরে দূর প্রবাসে পাড়ি দিচ্ছে।
তারমধ্যে সিংহভাগ শ্রমিক হচ্ছে অদক্ষ শ্রমিক। অর্থাৎ বেশিভাগ শ্রমিক কোন কাজ না শিখেই তারা প্রবাসে যাচ্ছে। শতকরা 80 ভাগ মানুষ আছে যারা কোন কাজ জানে না অথচ একটা ভিসা বা টিকিট পেলেই বিদেশে চলে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে বুঝতে পারে যে কাজের মূল্য কতটা অভিজ্ঞতার মূল্য কতটুকু।
অধিকাংশ মানুষ বিদেশ যাওয়ার পরে যে ভুল কাজটা করে থাকে সেটা হচ্ছে আজকে এই কাজটা, কালকে ওই কাজটা পরশুদিন আরেকটি কাজ এভাবে তারা করে।এরকম দু একদিন পরপর কাজ চেঞ্জ করতে থাকে শুধু।
কোন একটা নির্দিষ্ট কাজ শিখতে পারে না। "বিদেশে কোন কাজের বেতন বেশি'' কোন কাজে বেশি ইনকাম করা যায় এগুলো নিয়ে তাদের এমন একটা ধারণা থাকে না। তাই আজকে এর পরিপ্রেক্ষিতে এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো "বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি" এবং কোন কাজগুলোতে বেতন বেশি সেগুলো নিয়ে।
আর এই কাজগুলো মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি, দুবাই, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সকল দেশে এই কাজগুলো চাহিদা বেশি এবং এই কাজগুলোর বেতন বেশি।
এই ধরনের যেকোনো যেকোনো একটি কাজ যদি পড়তে পারেন তাহলে প্রভাস লাইফে আপনি খুব দ্রুত সফল হতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন না জেনে নেই বিদেশে বা প্রবাস জীবনে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৩ | পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক
বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রবাস লাইফে বা বিদেশে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ কাজটি রয়েছে সেটা হচ্ছে ড্রাইভিং। আপনি ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেকোন দেশে গিয়ে ড্রাইভিং এর কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে বিদেশে যেকোন দেশে কাজ করতে পারেন তাহলে মাসে 50 থেকে 1 লক্ষ্য টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেটা হতে পারে সৌদি দুবাই কাতার কুয়েত সিঙ্গাপুর ইউরোপ আমেরিকা কানাডা বা অস্ট্রেলিয়া। এই ড্রাইভিং পেসাররা বিদেশি ডিমান্ডিং একটি কাজ।
কোন দেশে যদি আপনি ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে পারেন অথবা সেই দেশে গিয়ে আপনার ভিসাটি ড্রাইভিং করতে পারেন। পাশাপাশি আপনি যদি একটি নিজস্ব লাইসেন্স নিয়ে একটা গাড়ি কিনতে পারেন অথবা কারো গাড়ি চালাতে পারবেন। তাছাড়া বিদেশে বাংলাদেশের তুলনায় গাড়ির দাম কম।তাই বিদেশীদের মে কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে আমি এই পেশাটিকে রাখবো।
হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ
যারা হোটেল বা রেস্টুরেন্ট রিলেটেড কাজ জানেন অর্থাৎ হোটেলের বাবুর্চি এইরকম কিছু কাজ জানেন এদের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে 70 থেকে 80 হাজার টাকা। এদের চাহিদা অনেক বেশি। মিডিল ইস্টের বিভিন্ন দেশে এদের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তাই আপনি যদি হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কোন কাজ জেনে থাকেন তাহলে বিদেশে আপনার কাজ নিয়ে কোন টেনশন করতে হবে না। আর যদি আপনার এই কাজগুলো জানা না থাকে তাহলে বাংলাদেশ থেকে এই কাজগুলো শিখে বিদেশে এসে করতে পারেন।
ফাস্টফুডের কাজ
কফিশপ, বার্গার, পিৎজা এ ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় যে কাজগুলো রয়েছে এগুলোর চাহিদা প্রচুর। এই ধরনের কাজ গুলো একটু সৌখিন রাজকীয় কাজ। কষ্ট একবারেই কম। আপনি এই ধরনের একটি কাজ যদি শিখতে পারেন লাইফে তাহলে বিদেশ থেকে আপনি প্রতিমাসে কমপক্ষে 50 থেকে 80 90 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেটা যে কোন দেশে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
আরেকটি সুখবর হচ্ছে আপনি যদি এই ধরনের কোন কাজ জানেন তাহলে নিজে থেকেই একটা ব্যবসা দাঁড় করানোর সুযোগ রয়েছে।
কনস্ট্রাকশন এর কাজ
পৃথিবীর যেকোন দেশে কনস্ট্রাকশনের কাজের চাহিদা সারা জীবন ছিল আছে এবং থাকবে। তবে এই কাজগুলো অনেক কঠিন। আর এই কাজগুলো সিংহভাগ বাঙালিরা করে থাকেন। এই কঠিন কাজ গুলোর ভিতরে কিছু সহজ কাজ রয়েছে।যেমন ইলেকট্রিক্যাল বা প্লাম্বার এর কাজ।
কাজগুলো চাহিদা বেশি রয়েছে। আপনি যদি একজন ইলেকট্রিশিয়ান বা প্লাম্বার হতে পারেন। সঠিকভাবে সবকিছু শিখে থাকেন। তাহলে পৃথিবীর যেকোন দেশে প্রবাসী আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এসি টেকনিশিয়ান বা ফ্রিজ এর কাজ
এসি টেকনিশিয়ান বা ফ্রিজের কাজ যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে এই কাজগুলোর ও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই কাজগুলো করার জন্য তেমন লোক পাওয়া যায় না। অল্প পরিমান মানুষ এই কাজগুলো করে থাকে।
এসে কাজটা সাধারণত গরমকালে হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি কাজ তা জানেন তাহলে গরমকালেই আপনি সারা বছরের ইনকাম করতে পারবেন। তার ছয় মাস খেলে আপনি পুরো এক বছরের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমার জানা মতে যারা এই কাজগুলো করে তারা 6 মাস কাজ করে 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। তাই এই ধরণের কাজও আপনি শিখতে পারেন এগুলো প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
একাজগুলো পাশাপাশি আপনি সেলুনের কাজ শিখতে পারেন দর্জির কাজ শিখতে পারেন, আর আপনি যদি বিল্ডিং কন্সট্রাকশন এর যেকোনো ধরনের সাইটের কাজ করতে পারেন তাহলে এগুলো দিয়েই কচু কাজগুলো শেষ করতে পারবেন না। যেমন টাইলসের কাজ রঙের কাজ ইত্যাদি।
বিদেশে কোন কাজের টাকা বেশি
তবে হ্যাঁ এই কাজগুলো তো অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে। কারণ সবকিছু নির্ভর করবে আপনার কাজের দক্ষতার উপর। যদি আপনার এই কাজগুলো প্রতি ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন এবং ভালো অর্থ মাস শেষে ইনকাম করতে পারবেন।
তাই যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট স্কিল থাকেন কোন কাছে জেনে থাকেন তাহলে আপনার কাজের চিন্তা করতে হবে না যে কোন দেশের ক্ষেত্রে সেটা।আর যদি আপনি কোন কাজ না জানেন তাহলে আপনার জালার শেষ থাকবে না। আমি কথাও ভালোমতো কাজ পাবেন না ভালো কোনো বেতন পাবেন না।
তাই বিদেশে বা প্রবাস জীবনে সফলতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রবাসে আসার আগে যে কোন একটি কাজের উপর দক্ষতা নিয়ে তারপর আসবে না। আমি আজকে যেই টপিকস গুলো আলোচনা করলাম সেগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে এই যে কোন একটির উপর দক্ষতা অর্জন করে আপনি যে কোন দেশে গেলে আপনাকে আর কাজ নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা করতে হবে না আশা করি।
প্রভাস লাইফে আপনি যদি কোনো একটি কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করেন এবং সে কাজটি করার পাশাপাশি নিজে নিজেই একটা সময় বের করে সেই কাজটা নিয়ে যদি একটা ছোটখাটো বিজনেস শুরু করতে পারেন তাহলে আরো লাভ।তাই যাওয়ার আগে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর স্কিল ডেভেলপ করুন।
এই ছিল আজকের আমাদের বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বিদেশে কোন কাজগুলো বেতন বেশি নিয়ে পোস্ট। পোস্টটি যদি আপনাদের হেল্প ফুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধ আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করবেন যারা বিদেশে যেতে চাচ্ছে। আর কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।