ওমানে কাজের ভিসা ২০২৩ | ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন কত

ওমানে কাজের ভিসা ২০২৩


ওমানে কাজের ভিসা ২০২২
ওমানে কাজের ভিসা


দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে আজকে আমাদের এই পোস্টটি যারা পড়েছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আশা করি আপনারা ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকে আমরা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে ওমানে কাজের ভিসা ২০২৩ বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো বেতন কেমন।


ওমানে কাজের ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে পারেন। সেখানে যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেই সংক্রান্ত সকল তথ্য আজকের এই পোস্টে শেয়ার করা হয়েছে।


বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত প্রচুর লোকজন বিভিন্ন খাতে কাজ করার জন্য ওমানের যাচ্ছে। ওমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য কিন্তু বেশ কিছু অপরচুনিটি রয়েছে। সেগুলোই আজকে আমরা প্রত্যেকটি step-by-step আলোচনা করব।


ওমানে কাজের বেতন কেমন হতে পারে এবং সেগুলো ফুলফিল করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে, ভিসা প্রসেসিং টা কিভাবে করবেন এই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ ইনফর্মেশন এখন আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করব।


ওমানের কোন কাজের চাহিদা বেশি


আগে আপনাদের সাথে আমি আলোচনা করব ওখানে কোন কাজ গুলো চাহিদা বেশি অর্থাৎ কাজ গুলো শিখে আপনি ওমানে গেয়ে কাজ করতে পারবেন এবং ভালো বেতন পাবেন। সাধারণত ওমানে প্রচুর পরিমাণে কাজ রয়েছে। 


ওমানে যে কাজটি চাহিদা সচরাচর বেশি সেটা হচ্ছে কনস্ট্রাকশন। পাশাপাশি এখানে জেনারেল লেবার থেকে শুরু করে প্রচুর টেকনিশিয়ান লেভেলের কাজ রয়েছে। যেমন ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ফোরম্যান ইঞ্জিনিয়ার, এই টাইপের কাজের  বেশি ডিমান্ড বেশি রয়েছে।


আপনি চাইলে এখানে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন রোড কনস্ট্রাকশন সহ এই ধরনের বিভিন্ন রকম কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এগুলো করতে পারেন।


হোটেল রেস্টুরেন্টে কাজ


ওমানে অনেক হোটেল রেস্টুরেন্টে কাজ রয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের হোটেলে বা রেস্টুরেন্টেসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড দোকানে প্রচুর কাজ রয়েছে। আপনারা হয়তো কেএফসি এর নাম শুনে থাকবেন।


এই কেএফসি হিউজ পরিমাণে কাজের চাহিদা রয়েছে।কেএফসির অনেক শাখা ওমানের আছে। সেখানে বাংলাদেশ থেকে তারা প্রচুর পরিমানের লোক ইতিমধ্যেই নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যাদের এডুকেশন লেভেল টা একটু ভালো  অর্থাৎ মোটামুটি ইংলিশে কথা বলতে পারে অথবা এরাবিয়ান কথার যারা দেশের বাইরে কাজ করেছে তাদের জন্য ভালো অপরচুনিটি দিয়ে থাকে কেএফসি। আপনারা চাইলেই সেগুলোতে কাজ করতে পারেন যদি আপনার পছন্দ মত কাজ পেয়ে যান।


আরো পড়ুন: আতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত




ওমানে কাজ পাওয়ার জন্য কি কি শিখা লাগবে


কেএফসি ওমানের যে সকল কর্মী নিয়োগ দিয়েছে তাদের মূলত এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন টা একটু যাচাই করেছে অর্থাৎ তারা মোটামুটি ইংরেজিতে কথা বলতে পারে কিনা।


পাশাপাশি তারা এখানে দুই ধরনের লোক বেশি নিয়োগ দিয়েছে। একটা  কিচেন রিলেটেড কর্মী আর একটা  ওয়েটার।


যেহেতু এটা একটা ফাস্ট ফুড কোম্পানি তাই এদের সার্ভ করার জন্য প্রচুর পরিমানের লোক লাগে। পাশাপাশি কিচেন তাদের প্রচুর লোক প্রয়োজন হয়। তাই আপনি চাইলে এই কেএফসিতে ও কাজ করতে পারেন।


ট্রান্সপোর্ট খাতে


ওমানে  অনেক ট্রান্সপোর্ট খাতেও কর্মী নিয়োগ করা হয়। পার্সোনাল ড্রাইভার সহ কোম্পানির ড্রাইভার পাশাপাশি হেলপার, অথবা ট্রাক ড্রাইভার এই কাজগুলো করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ড্রাইভিং এর দক্ষতা থাকতে হবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস থাকতে হবে।


মজরার কাজ


মাজরা মূলত কৃষিকাজ। যেহেতু আমরা বাঙালি তাই কমবেশি সবারই কৃষি কাজের প্রতি কিছুটা হলেও দক্ষতা আছে। তাই এই কাজটা আপনি ওমানে গিয়ে অনায়াসে করতে পারেন। কিন্তু ওমানে প্রচুর পরিমানের গরম এবং রোদ থাকায়  এই কাজটা একটু কষ্ট সাধ্য।



ওমানে কিভাবে কাজ পাবেন 


ওমানের এই কেএফসি কোম্পানিতে কাজ পাওয়ার জন্য যারা ফিচার রয়েছে অর্থাৎ মাত্র এইচএসসি বা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তারা হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর উপর একটা ট্রেনিং করে তারপর সেখানে কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।


এটা করলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যাবে এবং বেশ কিছু ফ্যাসিলিটিজ পাবেন। ফলে আপনার সেলারি ও বেড়ে যাবে।



ওমানে কাজের বেতন কত


ওমানের মুদ্রার মান অনেক বেশি। তাই ওমানের টাকা কে আমি বাংলা টাকা কনভার্ট করে আপনাকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব আপনি ওয়ানে গেলে কেমন বেতন পেতে পারেন। ওমানে যদি আপনি কাজের ভিসা দিয়ে যান তাহলে সেখানে আপনার বেসিক সেলারি  হবে 20 বা  25 হাজার থেকে শুরু করে  30 থেকে  35 হাজার টাকা।


ওমানে কাজ করার যে সুবিধা থাকে সেটা হচ্ছে আপনি যেই কাজটা করবেন সেই কাজটার পাশাপাশি আরো পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করতে পারবে না। আর যদি এই পার্টটাইম কাজ আপনি করেন তাহলে আরো এক্সট্রা ইনকাম করতে পারবেন।


ওমানে থাকা-খাওয়ার খরচ দিকটা যদি আপনাদের বলি তাহলে  ওমানে থাকার খরচটা কোম্পানি থেকেই দিবে কিন্তু খাবার খরচটা আপনাকে নিজের পকেট থেকে চালাতে হবে। এগুলোই হচ্ছে  ওমানের কাজের মূল ফ্যাসিলিটিস।


সেখানে যদি আপনি আপনার মূল কাজ করা বাদে আলাদা পার্টটাইম কাজ করতে পারেন তাহলে এক্সট্রা বেনিফিট পাবেন কিন্তু সেটা একটু টাপ।


ওমানে যাওয়ার খরচ কত


আপনি যদি ওমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ বা ওমানে যাওয়ার খরচ জানতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়তে পারে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। এর মধ্যেই আপনার কস্টিং হতে পারে ওখানে যাওয়ার জন্য। 


এই কাজগুলো মূলত বাংলাদেশের যেগুলো বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক রয়েছে তারাই মুলত এই কাজগুলো করে থাকে।


বাংলাদেশের প্রায় ১৫০০ মত বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। তাদের মধ্যে কিছু এজেন্সি রয়েছে তারা মূলত ওমানের কাজ গুলোই করে থাকে। আপনাকে সেগুলো খুঁজে বের করে তাদের সাথে কন্টাক্ট করতে হবে।


আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন ওমানে থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে ভিসা অ্যারেঞ্জ করতে পারবেন। 



ওমানে ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি রিকোয়ারমেন্ট লাগে


ওমানের ভিসা পাওয়ার তেমন আহামরি কোনো রিকোয়ারমেন্ট লাগেনা।ওমানের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার বৈধ একটা পাসপোর্ট থাকতে হবে, ছবি থাকতে হবে। যদি কোন কোম্পানির যদি চাহিদাপত্র লাগে যেমন আপনি যদি ডাইভারিং করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে।


বাংলাদেশ থেকে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে আপনার সেটা দিয়ে কিন্তু সেখানে ড্রাইভিং করতে পারবেন না। সেখানকার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সেখানে  একটা ট্রেনিং করতে হবে। এবং এই ট্রেনিং যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে তারা আপনাকে একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবে। এই লাইসেন্স দিই তখন আপনি নিশ্চিন্তে ড্রাইভিং করতে পারবেন যে কোন খানে।


এটাই হচ্ছে মূলত সিস্টেম ওমানের ভিসা পাওয়ার জন্য। এছাড়াও অন্যান্য যেগুলো রয়েছে যেমন যদি ওয়েটার হিসেবে জান। সেক্ষেত্রে আপনাকে তেমন কোন অসুবিধায় পড়তে হবে না। যদি আপনার এরাবিয়ান বা ইংলিশে ভাষাটা ভালো হবে জানা থাকে তাহলে আর কোন সমস্যা নেই।


আবার যদি কিচেনে কাজ করতে চান তাহলে বিভিন্ন রান্না করার মত আপনার ক্যাপাবিলিটি থাকতে হবে। যদি মাজরার কাজে যান সে ক্ষেত্রে কৃষি কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। 


(All Visa)Uk visa from Bangladesh 2023

শেষ কথা


ওমানে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে লাগবে আপনার পাসপোর্ট। তারপর আপনি যখন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন সেখানে আপনেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস  জমা দিবেন হবে। 


তারপর তারা আপনাকে মেডিকেল টেস্ট করাবে মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারলে ওই কোম্পানি থেকে আপনার নামে একটা ভিসা আসবে। তারপর সেখানে আপনার ম্যানপাওয়ার  ফিঙ্গার দিয়ে এটা ফ্লাই করতে পারবেন।


ওমানে যাওয়ার জন্য এটাই ছিল মূল প্রসিডিউর। ওমান সংক্রান্ত আরও তথ্য যদি আপনাদের জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ